কে মহান?
আমি বলি, বিধাতার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নারী মহীয়ান।
কে করে নারীরে অবহেলা
কে ভাবে নারী অবলা?
পুরুষের যেমন, হস্ত-পদ-চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা- অষ্টাঙ্গ রয়েছে
নারীর কোথা কম কিবা তাতে?
সেই কালের কথা মনে পড়ে-
নিমেষে নিমেষে নিষেধের ডোরে বেঁধে নারীরে বন্দি করে রাখা হত ঘরে,
এ করো না, ঐ করো না, করতে যত বাধাধরা
আজ দেখ, বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তারা!


যারা মর্যাদা ক্ষুণ্ন ভেবে নারীকে শিক্ষার আলো দেখায় নি
আজ তারা কোথায়, নারীরা বীরবিদুষী হয়েছে কতখানি।
নরেরা যেখানে রাখতে পারে নি পুরুষত্ব
নারীরা সেখানে করছে রাজত্ব!
নর ছাড়া নারী অসতী- জন্ম দিলে শিশু
মেরি কেন সতী তবে? জন্ম দিয়ে যিশু
দশ পত্নী নরের, তবু ভোগের ক্ষুধা মিটে না!
নারী একে সন্তুষ্ট- আরেক চায় না।


হাজার কাণ্ড ঘটিয়ে নর মহান, সাধু, দেবতা রয়
নারী বিনা দোষে বিনা রটনায় অনলে পুড়তে হয়!
এত জুলুমাত্যাচার সহ্য করে তবু নারী নরে সেবে
এত সেবা পেয়ে নরলোভী তুষ্ট নয় কভু তবে!
নারী, মাতা ভগিনী কন্যা স্ত্রী প্রেমিকারূপে সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি বিধাতার
স্বয়ং সে বিধাতায় দিয়েছেন নারীকে পূর্ণাধিকার।


কে মহাত্মা তুমি, নারীরে আজ পশ্চাতে রাখবে ধরে
সেই যুগের কথা ভুলে যাও নারীরা বন্দি রইত ঘরে।
নারী বিনা নর বৃথা- নর বিনা নারী-
কিন্তু পিতা বিনা পুত্র- বিরাট পুরুষ জন্ম  দিয়েছেন মেরি।
ইসা মুসা ইব্রাহিম মুহাম্মদ- কৃষ্ণ বৌদ্ধ যিশু নানক
নারীগর্ভে জন্ম মনসুরের মতো মহাসত্ত্ব সাধক।
পৃথিবীর যত মহৎ সন্তান, শ্রেষ্ঠ পুরুষ যাঁরা ছুঁয়েছেন আকাশনভ
নারী জন্ম দিয়েছেন তাঁদের মতো মহামনব।


১১ আষাঢ়, ১৪১০-
মানামা, আমিরাত।